পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কয়েকটি কবুতর।
কবুতরকে বলা হয় শান্তির দূত। বাংলাদেশে বিভিন্ন গৃহপালিত পাখিগুলো মধ্যে কবুতর পালন সবচেয়ে জনপ্রিয়। প্রাচীনকাল থেকেই এ পাখিটির কদর মানুষের কাছে। আগেকার দিনে কবুতর পালন করা হতো চিঠি আদান প্রদানের কাজে। বর্তমানে লাভ জনক ব্যবসা হিসেবে অনেকে বানিজ্যিকভাবে এটি পালন করছেন। শহর কিংবা গ্রামে, বাড়ির যেকোনো কোণ বা আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ কিংবা কার্নিশের মত স্বল্প আয়তনের জায়গাতেও খুব সহজে কবুতর পালন করা যায়। এছাড়া, কবুতরের মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এটি খুব জনপ্রিয় পাখি। চলুন জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর আর দামী কিছু কবুতরের জাত সম্পর্কে:-
ভিক্টোরিয়া ক্রাউন:
ফ্যানটেল:
লক্ষা বা ফ্যানটেলকে বাংলাদেশের ময়ুর পঙ্খি হিসেবে ডাকে। এ জাতের উৎপত্তি মূলত ভারতে। এদের লেজের পালক পাখার মত মেলে দিতে পারে। যে কারণে এদেরকে ফ্যানটেল বলা হয়। তবর এরা উড়তে পারে না। ফেন্টেল সাধারণ কবুতরের মতোই৷ এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লেজ। যা সব সময় ময়ূরের পেখমের মতো মেলানো থাকে। জোড়া প্রতি এদের দাম হতে পারে দশ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত।
মুন্ডিয়ান:
মুন্ডিয়ান নামের ফরাসি জাতের কবুতর দেখতেও বেশ সুন্দর। এগুলো পাওয়া যায় পশ্চিম আফ্রিকা আর ফ্রান্সে। মুন্ডিয়ান কবুতর বিভিন্ন রঙয়ের হয়ে থাকে। রংয়ের ওপর নির্ভর করে এদের দাম নির্ধারণ করা হয়। ভালো জাতের মুন্ডিয়ানের দাম পড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলারের মতো। মুন্ডিয়ান কবুতরের ওজন সাধারণত এক কেজির মতো।
জ্যাকবিন:
বিশ্বের পুরনো প্রজাতির কবুতরগুলোর মধ্যে জ্যাকবিন একটি। দীর্ঘ দেহ এবং সিংহের মতো কেশর বা হুডের জন্য এরা খুবই পরিচিত। কেশরের কারণে এদের চোখমুখ ঢেকে থাকে। মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত লম্বায় এরা এক ফুট বা তার চেয়ে বেশি হতে পারে। জ্যাকবিন উড়তে পছন্দ করে না। মান ভেদে এই প্রজাতির দাম হয় ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। বানিজ্যিকভাবে এ কবুতর পালন করে অনেকেই খুব অল্প সময়ে লাভবান হয়েছেন । এরা সাধারণত ১২ থেকে ১৫ বৎসর বেঁচে থাকে।
নিকোবর:
পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কবুতরগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো নিকোবর। এরা রঙ বাহারী সুন্দর কবুতর নামেও পরিচিত। এর মূল্য জোড়া এক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো হতে পারে। একটি প্রাপ্ত বয়স্ক নিকোবরের ওজন প্রায় ৬০০ গ্রাম এবং লম্বায় হয়ে থাকে ৪০-৪২ সে.মি.। এদের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এদের নীল, সবুজ এবং তামাটে এই তিন রঙয়ের ঝলমলে পালক। তবে শরীরের সবচেয়ে উজ্জল অংশ হচ্ছে লেজে থাকা সাদা ধবধবে পালকগুলো। অবশ্য কেবল প্রাপ্ত বয়স্ক কবুতরেই এটি দেখতে পাওয়া যায়। এদের পাকস্থলীতে এক ধরনের দামি পাথর পাওয়া যায়। যা গয়না তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
কিং
কিং কবুতর যেন একেবারে রাজার মতোই। এদের মধ্যে হোয়াইট কিং এবং সিলভার কিং আমেরিকাসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিং জাতের কবুতর প্রদর্শনীতে ব্যবহার হয়। এছাড়াও ব্লু রেড এবং ইয়েলো কিং নামেও কবুতর আছে। এই জাতের কবুতর মূলত প্রদর্শনীতে ব্যবহৃত হয়।